হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারী বর্ষন ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে টমেটোসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক একর জমির ফসল। এতে আগাম জাতের টমেটো ফসল ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়েছে। গত কয়েকদিনের থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি পাতের কারণে ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিমনাছড়া, ত্রিপরাছড়া, তেলালিয়া ছড়া সহ বিভিন্ন ছড়ার পানি উপচে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ভান্ডারুয়া, লোহাইদ, নোয়াগাও, বনগাও, জালোয়াবাদ, শাহজাহানপুর, গোয়াসনগরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক,শ একর জমিতে উঠতি শাক সবজিসহ মৌসমী ফসল বালি মিশ্রিত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালি আসায় আন্দিউড়া ইউনিয়নে অনেক আমনধানী জমি বালিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু টমেটো ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার উপরে বলে জানা যায়। স্থানীয় কৃষকরা জানান,পানি ধীরে ধীরে নেমে গেলেও পানিতের সাথে বালু থাকায় এতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শাহজাহানপুর গ্রামের কৃষক রানা মিয়া জানান-১ লাখ টাকা খরচ করে ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছিলাম বৃষ্টির পানিতে টমেটো চাড়া সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এলাকার অনেক কৃষকের প্রধান আয়ের উৎস টমেটো। তাই বানিজ্যেক ভাবে কৃষকরা আগাম জাতের টমেটো চাষাবাদ করে ভান্ডারোয়া গ্রামের কৃষক নিপু মোল্লা বলেন-দুই লাখ টাকা খরচ করে ১শ ২০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন পাহাড়ি ঢলে টমেটো ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে টমেটো গাছ আর বাচাঁনো সম্ভব হবে না। পানি সরে গেলেও টমেটো গাছের শিকড়ে পানি লাগায় দু’এক দিনের মধ্যে শেকড়ে পচন ধরে মরে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও কৃষি কর্মকর্তা মঙ্গলবার ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতি গ্রস্হ বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করেছেন। কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান বলেন-পানি সরে গেলে টমেটো চারা ছাড়া অন্য কোন ফসলের তেমন ক্ষতি হবেনা।