আগামী ১১নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০ ইউপি নির্বাচন। আসন্ন ঐ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে নতুন ও পুরাতন মিলে আওয়ামী লীগ সমর্থক ৭২জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কৌশলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি প্রার্থীরা মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ভায়না ইউনিয়নে ৬জন, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৯জন, মানিকহাট ইউনিয়নে ৮জন, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ৬জন, হাটখালী ইউনিয়নে ৯জন, সাগরকান্দী ইউনিয়নে ৭জন, রানীনগর ইউনিয়নে ৭জন, আহম্মদপুর ইউনিয়নে ৯জন, দুলাই ইউনিয়নে ৫জন ও তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে ৬জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডের সাথে জোর লবিং চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাব ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থন কামনা করছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও বলছেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন আওয়ামী লীগ বড় দল। একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলে থাকতে পারে। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেলে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।