গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে এ বছর ৬৬টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার বেশির ভাগ দূর্গাপুজা মন্ডপ গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে এখন চলছে প্রতিমায় রং করাসহ সাজানোর শেষ মূহুর্তের কারুকাজ। শিল্পীর হাতে রং-তুলির শেষ আঁচর। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশ-কাঠ, খড়-সুতলি, আর কাঁদামাটি দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। বেশকিছু দিন ধরে দিন-রাত ব্যস্তসময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপ তৈরী করা হয়েছে বাহারি সাজে। নানা রংয়ের কাপড়ের ডেকোরেশন, লাইটিং এর কাজ চলছে পুরোদমে। সোমবার (১১ অক্টোবর) ষষ্ঠমীর মধ্যদিয়ে বিশ্ব শান্তির কল্যাণে সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজায় দেবীকে আসনে রেখে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রতিমা কারিগর শ্রী খোকন চন্দ্র মালাকার জানায়, অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে প্রতিমাগুলো তৈরী করা হয়েছে এবং এখন রং ও সাজানোর কাজও প্রায় শেষের দিকে। দেশী-বিদেশী রং তুলির বর্ণিল রংয়ের সাথে মিলিয়ে জামা-কাপড় দেবীর গায়ে পড়িয়ে গলায় ও হাতে দেয়া হবে গহনা। সুজিত মালাকার নামের একজন প্রতিমা কারিগর জানান, মাসখানেক আগে থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। এখন শেষ তুলির আচরে ব্যস্ত তারা।
এদিকে; উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে মোট ৬৬ট মন্ডপে আনন্দ ঘন উৎসবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কুমার মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক দিলিপ চন্দ্র সাহা জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, পূজার সময় উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান নয়ন জানান, দেশে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় করোনা ভাইরাসের চলমান এ সময় সরকার নির্দেশিত বিধি-নিষেধ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার্চনা পালন হবে। তারপরও সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা যেন নির্বিঘেœ উদ্যাপন করতে পারেন সে জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়োজিত থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রতি বছরের মত এবছরও শারদীয় দুর্গোৎসবে সকল ক্রিয়াকর্ম যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেই দিক থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং আনসার ভিডিপি সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।