বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ করেছেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নন্দীগ্রাম রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুন অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিল। তার অনুপস্থিতির কারণে সকাল সাড়ে ৯টায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে চতুর্থ শ্রেণির গণিত পাঠদান নেওয়ার জন্য বলেন প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুন। এ সময় প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান অকথ্য ভাষায় অশালীন আচরণ করেন। এরআগেও বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করেছেন তিনি। এই বিষয়ে গত রোববার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে বলবো, বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসার শিফা নুসরাত বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম বলেন, সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।