ভোরের আবছা কুয়াশা, নীল-সাদা আকাশ, বাতাসে শিউলী ফুলের ঘ্রাণ, শ্বেতশুভ্র কাশফুলের দোলা। প্রকৃতির এ শোভনীয় রূপের মোহনীয় সজ্জা জানান দিচ্ছে শরতের আগমনী বার্তা। সঙ্গে নিয়ে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো দুর্গতিনাশিনী দশভুজা ‘মা দুর্গা’ এসেছেন ধরায়।
আজ পবিত্র ষষ্ঠি তিথিতে অশ্বমেথ বৃক্ষের পূজার মাধ্যমে আবাহন করা হবে দেবী দুর্গার। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।তারই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৫৪টি মন্দিরে পালিত হচ্ছো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গোৎসবকে ঘিরে এবার প্রশাসনের তরফ থেকে তিন স্তরের নিরাত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তার জন্যে তিন শতাধিক পুলিশ, আনসার,ভিডিপিসহ সাদা পোষাকধারি সরকারী লোকবল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এব্যপারে চিতলমারী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম কামরুজ্জামান জানান,শারদীয় উৎসব উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে প্রায় তিন শতাধিক পুলিশ, আনসার,ভিডিপিসহ সাদা পোষাকধারি সরকারী লোকবল প্রস্তুত রয়েছে। কোন প্রকার অপ্রিতিকার ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।