আগৈলঝাড়ায় উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাজিহার গ্রামের কেতনার বিলের পাত্তর বাড়ি আজও মাটি খুরলে মিলে ৭১’র মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহতদের মানবদেহের হাড়। সম্প্রতি ধলুরাম ঢালরি ছেলে ধীরেন্দ্র নাথ ঢালী (৭৫) পানের বরজ তৈরি করার জন্য মাটি খুরতে গেলে মানুষের হাড়পায়। ধীরেন্দ্র নাথ ঢালী জানায়, তাদের ধারনা ৭১ সালে যারা মারাগেছে তারে হাড়। মুক্তিযুদ্ধে সময় পাকহানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহতদের হাড় পাওয়া গেছে এই সংবাদ পেয়ে পাড়টি খুলনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রাখার জন্য নিতে ছুটে আসেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মকর্তা মোহাম্ম্দ আরিফুল হক। মুক্তিযুদ্ধে সময়ের গণহত্যা পাওয়া একটি হাড় জাদুঘরে সংরক্ষনে রাখার জন্য গত ৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা হাড়টি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মকর্তা মোহাম্ম্দ আরিফুল হক এর হাতে তুলেদেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা বিষয়ে গবেষক প্রভাষক লুলু আর মারজান, সোমদ্দারপাড়ের মনোজ কুমার গোমস্তা, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এসএম ওমর আলী সনি, সাংবাদিক স্বপন দাস ও নাজমুল রিপন সহ অনেকে।
এসময় ধীরেন্দ্র নাথ ঢালী ও দেবেন্দ্র নাথ পাত্তরের স্ত্রী মায়া পাত্তর বলেন, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এই পাত্তর বাড়িতে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো। পাকিস্তানী মিলেটারিরা আমাদের বাড়ির সকল ঘরে আগুন লাগিয়ে পুরে ফেলে। তখকার ধানের গোলার ধান পুরেযায় একনও তা দেখা যায়। আমাদে বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ গুলো গুলিকরে মারে তাদের লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। অনেকের লাশ গাছে ঝুলে থাকে। মিলেটারিরা চলে যাবারপরে মানুষ দূর থেকে মানুষ এসেগর্থ করে এক একটি গর্থে ১৫ থেকে ২০টি লাশ মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। আমার এখনও মাটি খুচতেগেলে সে সময়ের হাড় পাই। আমরা আগে অনেক হাড় পেয়েছি তা ফেলেদিয়েছি, আমার তোরএর গুরুত্ব বুঝিনাই। এখানে গণহত্যার স্মৃতিসৌধ নির্মন কাজ চলছে।