ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে করোনার টিকা সংকট দেখা দেবার কারণে সাধারন মানুষ ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী নিবন্ধন করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নারী পুরষ অনেকেই। কিন্তু করোনার টিকা না থাকার কারণে সাধারন মানুষ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে কবে টিকা দেওয়া হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। কালীগঞ্জ হাসপাতালে সিনোফার্ম ও আস্ট্রাজেনেকা এই প্রকার টিকা দ্রেয়া হয়। টিকাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ পড়েছেন বিপাকে। হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে ঘুরে মিলছে না কোন সমাধান। টিকা দিতে আসা অনেকেই টিকার ব্যাপারে তথ্য জানতে এসে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে না। কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকার মানুষ সকাল ৭টায় হাসপাতালে এসে টিকা না পেয়ে ক্ষোভে ফিরে যাচ্ছে সোমবার থেকে। এইরকম করে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলে ভুক্তভোগিরা কোনো সমাধান না পেরে চোলে যাচ্ছে। জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি নাগাদ টিকা আসবে বা কবে দেওয়া হবে তা বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মানুষ টিকা নিতে পেরেছে। অপরদিকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করে টিকা দিতে পারছে না। এমন অনেকে এসেছে সিনোফার্ম ও আস্ট্রাজেনেকা টিকা নিতে। অনেকে এক ডোজ দিয়ে আর দিতে পারছে না। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ধরনা দিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দায়। টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
ডাক্তার অরুন কুমার দাস (উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) জানান, গত ১০ তারিথ থেকে টিকা শেষ হয়ে গেছে করে পাওয়া যাবে তা বলতে পারেনি। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে টিকা প্রত্যাশিরা অনেকে এসেছেন। তাদের কোনো ভাবেই বুঝানো যাচ্ছে না। যাকে যেভাবে পারছি, বুঝিয়ে যাচ্ছি। টিকা আমাদের কাছে যা মজুদ ছিল তা দিয়ে শেষ করেছি। নতুন ডোজ না আসলে আমরা নতুন করে টিকা দিতে পারবো না। টিকার চালান আসলে আমরা টিকা দেওয়া শুরু করতে পারবো।