ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম ইমরান খান নাদিম। তার বাসা শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার কমিশনার শামসুল হক সড়কে। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সংগঠনের নীলফামারী জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওইসব তথ্য জানানো হয়েছে। মুঠোফোনে বহিষ্কার বিষয়ে জানতে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নীলফামারী জেলার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক আশরাফুল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ইমরান খান নাদিমকে গ্রেফতার করা হয় তার বাসা থেকে। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা। কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মামলার এজাহারে উদ্ধারকৃত ইয়াবার সংখ্যা দেখিয়েছে ১৭০ পিস। বর্তমানে ধৃত ইমরান খান নাদিম নীলফামারী জেল হাজতে রয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর সাধারণ সম্পাদক হয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার মাথার ওপর ছায়া হয়ে পাশে থাকে আ.লীগ ও যুবলীগের প্রভাবশালী দুই নেতা। এই দুই নেতার ছত্রছায়ায় থেকে কয়েল ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার সা¤্রাজ্য গড়ে তোলে। কামাতে থাকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা। অল্প দিনের মধ্যে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। তার মাথায় ছায়া থাকা বিভিন্ন নেতাদের বিভিন্ন কাজে ইমরান খান নাদিম সহায়তা করা শুরু করে লাখ লাখ টাকা। এমন অবস্থায় ওই দুই নেতার অতি আপনজন হয়ে ওঠে সে। করতে থাকে ধরাকে সড়াজ্ঞান। গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি সূত্রমতে গ্রেফতার হওয়া ইমরান খান নাদিম উত্তরাঞ্চলে মাদক নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের থার্ড ইন কমান্ড। এই সিন্ডিকেটের ফাস্ট এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড রয়েছে পুরোপুরি অধরা। সে জন্য সাধারণের মাঝ থেকে দাবি উঠেছে মাদক সিন্ডিকেটের থার্ড কমান্ড ইমরান খান নাদিমকে পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের অতি দক্ষ ইউনিট যদি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে এ জনপদে মাদক রাজ্যের ফাস্ট এবং সেকেন্ড ইন কমান্ডকে চিহ্নিত করা যাবে। আর তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে কিছুটা হলেও যুবক ধ্বংসকারী ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন হতে পারে।