মেঘনা তীরের জনপদ জেলার হিজলা উপজেলার বাউশিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে কোষ্টগার্ডের ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় জাহাজে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে জেলেরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা গ্রামের ভেতর ঢুকে নারী-পুরুষদের নির্বিচারে লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর পর এ ঘটনায় নয় মাসের অন্তঃস্বত্তা এক গৃহবধূসহ কমপক্ষে চারজন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
কোষ্টগার্ডের লাঠিপেটায় আহত অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ ফারজানা বেগম (২১), সোলাইমান মাঝি, বাচ্চু হাওলাদার ও হাবিব বাঘাকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া শাহাবুদ্দিন ঘরামী নামের একজনকে কোষ্টগার্ড আটক করেছে।
বাউশিয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, নদীতে ইলিশ শিকারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ণে অভিযানে যায় কোষ্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় তাদের অভিযানিক জাহাজে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কতিপয় অসাধু জেলেরা। এ ঘটনার জেরধরে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে প্রবেশ করে নারী-পুরুষদের বেধরক লাঠিপেটা করে।
অন্তঃস্বত্তা গৃহবধু ফারজানা বেগম জানান, মুলাদীর স্বামীর বাড়ি থেকে হিজলার বাউশিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে তিনি বেড়াতে এসেছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তিনি পিতা জলিল বেপারীর ঘরে পৌঁছেন। কোষ্টগার্ডের সদস্যরা ঘরের মধ্যে ঢুকে লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরেন। স্বজনরা তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ঝন্টু হাওলাদার বলেন, গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেন কোষ্টগার্ডের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারী-পুরুষদের বেধড়ক লাটিচার্জ করেছে।
হিজলা উপজেলায় দয়িত্বরত কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ হামিদ গ্রামবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনার বাউশিয়া পয়েন্টে জেলেরা ইলিশ নিধন করছিলো। কোষ্টগার্ডের জাহাজ সেখানে পৌঁছলে জেলেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তাদের ধাওয়া করে নদীর তীর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোষ্টগার্ডের সদস্যরা কারো বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেননি।