পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যদের কর্মক্ষম করতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পায়রা পোর্ট এর মালটিপারপাস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থ্য সদস্যদের অংশগ্রহনে "মর্ডান অফিস ম্যানেজমেন্ট " বিষয়ক ছয় মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্যা রুরাল পূয়র(ডরপ) এর আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডরপ’র ডেপুটি টিম লিডার মো. মনিরুজ্জামান প্রিন্স।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দর কূর্তৃপক্ষের উপ প্রকল্প পরিচালক, লেঃ কমন্ডার আদনান আবির নাঈম,। উপস্থিত ছিলেন, পায়রা প্রশিক্ষণ প্রকল্পের টিম লিডার এবং হেড অব ট্রেনিং মোঃ মাজহারুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মুহাঃ আশরাফ উজ্জামান (বাপ্পী) প্রমুখ।
ছয় মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে দুটি শিফটে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ৫০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
২০১৯ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংস্থা ডরপ পায়রা বন্দর নির্মানে ক্ষতিগ্রস্থ্য চার হাজার দুইশ পরিবারের সদস্যদের ১০৬টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত তিন হাজার দুই শত সদস্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে নিজেদের নিয়োজিত করেছে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে। এ মর্ডান অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাই কাজের সাথে যুক্ত হয়ে আয় করতে শুরু করেছেন, তারা প্রধানত ফ্রিল্যান্সিং ও বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কাজে নিয়োজিত করে প্রশিক্ষন চলমান অবস্থায় গড়ে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকার বেশী আয় করতে সক্ষম হয়েছেন। এই ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ৫০ সদস্য আরো বেশী আয় করে নিজেদের সফল উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে আশা করছেন ডরপ কর্তৃপক্ষ।
প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, এই ছড মাসে সবাই ভালো প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সবাইকে কাজে যুক্ত থাকতে হবে। শুরুতেই বেশী লাভের আশায় বসে থাকা যাবেনা। পরিচিতির জন্য কম লাভ হলে ও কাজ করতে হবে, খুঁজে খুঁজে কাজ নিতে হবে, কলাপাড়ায় অনেক কাজ শুরু হয়েছে ভবিষ্যতে এই কাজের অনেক চাহিদা হবে। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে এই কাজের অনেক সম্ভাবনা, আপনাদের কাজ নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা, বিকল্প ও বহুমুখী জীবিকায়নের ব্যবস্থা হবে। এই প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা ও আয়োজনের জন্য জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পায়রা বন্দর ও ডরপ সংস্থার ভূয়াশি প্রশংসা করেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাদকমুক্ত উন্নত দেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বলেন।