পাবনার সুজানগর-খয়রান ভায়া চিনাখড়া সড়কের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। আর এই ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে ছোট বড় ৮টি স্পীড ব্রেকার। এতে যানবাহনের পাশাপাশি এলাকাবাসীর চলাফেরায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন জানান, এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ ঐ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, সিএনজি, ভটভটি এবং ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মোটর সাইকেল আরোহী ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সুজানগর উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। অথচ মাত্র ১২কিলোমিটার ঐ সড়কে অপরিকল্পিতভাবে ঘন ঘন ৮টি স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী স্পিড ব্রেকার গুলো দূর থেকে চোখে পড়ার জন্য সাদা রং করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে চরম বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে এলাকাবাসীর চলাফেরায়। বিশেষ করে মোটর সাইকেল আরোহীদের জন্য ঐ স্পীড ব্রেকার গুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ভুক্তভোগী মোটর সাইকেল আরোহী সিদ্দিকুর রহমান বলেন ইতঃপূর্বে ঐ স্পীড ব্রেকার অতিক্রমকালে আমিসহ আমার আরও দুইজন বন্ধু আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্যান উল্টে আহত হয়েছে আরও ৩জন যাত্রী। ভুক্তভোগী মহল অপ্রয়োজনীয় ঐ স্পীড ব্রেকার অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল বাতেন বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে স্পীড ব্রেকার অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।