মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পাকিস্তানীরা চলে গেলেও তাদের প্রেতাত্বারা পঞ্চগড়সহ সারাদেশে রয়েই গেছে। তারাই আজ কারণে অকারণে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার চেষ্টা করছে। কুমিল্লার ঘটনা টেনে তিনি বলেন, কোন পাগলে বলবে যে কোরআন শরীফ দিয়ে হিন্দুরা তাদের পুজা করে। তাদের সাথে আমাদের আল কোরআনের কি সম্পর্ক। তারা তাদের ধর্ম পালন করছে। সবার অলক্ষে হঠাৎ করে লুকিয়ে রেখে এসে তারা বলে দিল কোরআনের অবমাননা চলছে ওই মন্দিরে। তারা তাদের ধর্ম পালন করছে। তারা সেখানে কোরআন শরীফ রাখবে কেন। তারাই ডিজিটাল যুগে মিথ্যাচার করে সারাক্ষণই অপপ্রচার চালাচ্ছে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের জালাসি এলাকায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন শেষে পঞ্চগড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইখুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার ইসমাইল হোসেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার কাজী মাহবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারওয়ার হোসেন প্রমূখ। এলজিইডিন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম সফিক উপস্থিত ছিলেন।
এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি তিনতলা বিশিষ্ট ওই ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ছয়টি করে দোকান ঘর এবং তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস, মুক্তিদুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত জাদুঘর ও সম্মেলন কক্ষ হিসেবে ব্যহহৃত হবে।