কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংঘটিত হামলা ও সংঘর্ষের সহিংস
ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের আল আমিন(১৮), রান্ধুনীমুড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ইয়াছিন হোসেন (১৫), একই এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শামীম (১৯) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাবলু (৩০)। তাঁদের লাশ চাঁদপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা সুত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,১৩ অক্টোবর বুধবার এশার নামাজের পর আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারে কুমিল্লায় পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা করায় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবরে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে জনতা মিছিল বের করে।মিছিলটি শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া ও পাশবর্তী আশ্রমের দিকে আসতেই হামলা ও উত্তেজনার সৃস্টি হয়।মুর্হুতেরর মধ্য পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারীসহ প্রায় ২০জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত বাবলু, আল-আমিন ও হৃদয়কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়। এবং শামীম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।
এদিকে,চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন এবং পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।