জেলার নদী বেষ্টিত মুলাদী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন গাছুয়া ইউনিয়নবাসী। ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অসহায় পরিবারের জমি দখল ও বিভিন্নভাবে হয়রানীর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শরীয়ত উল্লাহ গাছুয়া ইউনিয়নের চরধলেশ্বর গ্রামের মৃত ইউনুস বেপারীর পুত্র। ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বিভিন্নজনের জমি জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর নির্মান করে আসছেন শরীয়ত উল্লাহ। এ ছাড়া এলাকার অসহায় পরিবারগুলোর সহয় সম্পত্তি দখল করার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হয়রানীর বিস্তার অভিযোগ রয়েছে।
নতুন বাজারের ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে নির্মিত তার ভবনের পাশে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শরীয়ত উল্লাহ। এজন্য ছাদের উপর ছাঁদ উঠিয়ে দেয়ায় তার (বশির) ভবনের ছাদে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তাকে (শরীয়ত উল্লাহ) জানালে তিনি উল্টো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
স্থানীয় জয়নাল বেপারীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, অধ্যাপক শরীয়ত উল্লাহ নানাভাবে তার লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানী করে আসছেন। আবেদ বেপারীর পুত্র শামচুল আলম জানান, বিনাকারণে তাকেও বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। শরীয়ত উল্লাহর মামা আলী হোসেন বলেন, আমার জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে শরীয়ত উল্লাহ। স্থানীয় হতদরিদ্র ছালমা বেগম জানান, তার সহয় সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার জন্য শরীয়ত উল্লাহ ও তার লোকজন বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানী করে আসছে। স্থানীয় অসহায় পরিবারগুলো শরীয়ত উল্লাহর হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মুলাদীর মুর্তিমান আতঙ্ক শরীয়ত উল্লাহর সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মানুষ তটস্থছিল। বর্তমানেও তার (শরীয়ত উল্লাহ) বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল, মারধরসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সহকারি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে অবহিত করেছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা শরীয়ত উল্লাহর বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।