মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষকারি কুখ্যাত রাজাকার নঈম খানের পুত্র দিলনেওয়াজ খানকে গ্রেফতারের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কাউন্সিল মানববন্ধন করেছে। ১৬ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ মানববন্ধন। শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের স্বাধীনতা ভবন চত্তরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক। অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ বসুনিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা সালাউদ্দিন বেগ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, শহীদ সন্তান মোনায়মেনুল হক। এছাড়াও ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সমর্থন ব্যক্ত করে বক্তব্য বলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আ.লীগ নেতা প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শহীদ সন্তান ও আ.লীগ নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন। গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতা অ্যাডভোকেট সুজাউদ্দৌলা সুজা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পর আবার রাজাকার ও তাদের সন্তানরা সৈয়দপুরে জেগে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারা করছে কটাক্ষ। আর এসব রাজাকার সন্তানদের প্রশ্রয় দিচ্ছে আ.লীগের কতিপয় অর্থলোভী নেতারা। তারা আরও বলেন, কুখ্যাত রাজাকার নঈম খানের ছেলে দিলনেওয়াজ খান প্রকাশ্যে জনসমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ করেছে। তার কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েনি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। অথচ ওই জনসমাবেশে বসে রাজাকার পুত্রের বক্তব্য শুনেন আ.লীগের স্থানীয় কতিপয় নেতা। এমনকি তারা রাজাকার পুত্রের বক্তব্য শুনে হাততালিও দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ বসুনিয়া আক্ষেপ করে তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয়ভাবে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করলাম। সেই তালিকা পত্রিকায় প্রকাশিত হলো। কিন্তু এর কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করলো স্থানীয় আ.লীগের কতিপয় নেতারা। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, যুদ্ধে যারা অংশ নেয়নি, তারা যুদ্ধের মর্ম বুঝবে না। আমরা সেদিন জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। তাই মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকতে রাজাকারের ঠাই হবে না মুজিবের বাংলায় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনে।