গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শিহিপুর গ্রামের আবদুল মতিন কিডনি পাচারের উদ্দেশ্যে মিথ্যে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৬ অক্টোম্বর উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের সূয্যাগাড়ী গ্রামের মৃত শবদুল ফকিরের ছেলে নূরুল ইসলাম এর মেয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ফুসলাইয়া কিডনি পাচারের উদ্দেশ্যে মিথ্যে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে রাস্তা থেকে অপহরণ করেছে পার্শ¦বর্তী রাজাহার ইউনিয়নের শিহিপুর (আনন্দীপুর) গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে আবদুল মতিন (৪০)। অভিযোগে উল্লেখ গত ২ অক্টোম্বর নুরুল ইসলামের মেয়ে আমার বড় মেয়ের বাড়ী জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে জানা যায়, আবদুল মতিন একজন কিডনি পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। ইতি পূর্বে সে সু-কৌশলে নাম মাত্র মোহর ধার্য করে আরও কয়েকটি বিবাহ করেছে এবং জোর পূর্ব কিডনি পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। তার এমন প্রতারনার শিকার হয়েছে এলাকার গরীব অসহায় পরিবারের কোমলমতি সুন্দরী মেয়েরা। তার এক স্ত্রী জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার চেচুরিয়া গ্রামের মৃত জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জেমি আক্তার জানান, বিগত ২০১৯ সালে আবদুল মতিন সু-কৌশলে প্রতারনার মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করে এবং বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে একটি ফুট ফুটে পুত্র সন্তান রয়েছে। তার এইসব অনৈতিক কাজে আমার সম্মতি না পাওয়ায় আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে গত ২৪ এপ্রিল ২১ ইং তারিখে বাবার বাড়ীতে পাঠাইয়া দেয়। এ বিষয়ে জেমি আক্তারের দ্বায়ের করা জয়পুরহাট জেলা বিজ্ঞ ৫ নং আমলী আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আবদুল মতিন একজন কিডনি পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। গরীব অসহায় সুন্দরী মেয়েরা হচ্ছে তার মূল টার্গেট। তাদেরকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে বিবাহ করে এবং সু-কৌশলে কিডনি পাচার করে। এ যাবত আবদুল মতিন প্রায় ১ ডজন বিবাহ করেছে। মতিনের এমন কৃত কর্মের জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।