নাটোরের দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহবুর ইসলাম মিঠুকে রাজাকারপুত্র আখ্যায়িত করে তাকে মনোনয়ন না দেয়ার দাবী জানিয়েছেন একই ইউনিয়নের নৌকার আরো দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দাবী জানানো হয়। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব এবং বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সুরুজ দলের নীতি নির্ধারকদের কাছে এই দাবী জানান। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নাটোরের ইতিহাস নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক লেখক সুজিত কুমার সরকারের লেখা বই ও গত বছর বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পালের স্বাক্ষরিত তালিকা অনুযায়ী দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহবুর ইসলাম মিঠুর পিতা মৃত জয়েন উদ্দিন ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। জেলার ৫২ইউনিয়নের মধ্যে এই ইউনিয়নে একটি সেনানিবাস ও সেনাবাহিনীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় এই ইউনিয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ন। এখানে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনে কোন শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যের সন্তান নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনিত হয়ে দলকে কুলষিত করুক তা আমরা কোন ভাবেই চাই না। এটা মেনে নেয়াও সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে দয়ারামপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম, নাটোর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রাসেল আহমেদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলমান আলী বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, বিএনপির জন্ম থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করলেও ১৯৯৬ সালে এক আত্বীয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দেন চেয়ারম্যানের পিতা জয়েন উদ্দিন। চেয়ারম্যান নিজেও আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই। দলের পরীক্ষিত নেতাদের মধ্যে মনোনয়ন প্রদানের জন্য উপস্থিত সকল বক্তা দাবী জানান।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহবুর ইসলাম মিঠু বলেন, মৃত্যুর আগে টানা ২৫ বছর আমার বাবা স্থানীয় দয়ারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, আমার ভাই উপজেলা যুবলীগের নেতা। পরিবারের সবাই আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। হঠাৎ কিভাবে নির্বাচন সামনে রেখে আমার মরহুম পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় তোলা হলো আমি জানি না। আমার জনপ্রিয়তার কাছে পরাজিত হয়ে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এসব নোংরা খেলায় মেতেছে। আমার পিতা কখনই শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সাথে জড়িত ছিলেন না।