মাত্র সাড়ে তিন শতক জমির ওপর একটি ভবন নির্মাণ করা রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি অতিরিক্ত কোনো জায়গা না থাকায়,শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের চড়ম কষ্টের ভেতর দিয়ে পাঠদান চালায়ে আসতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে পলাশবাড়ি রেজিষ্টাড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সরকার ২০১৩ সালে সারাদেশের ন্যায়ে এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের তালিকায় নাম আসে। বর্তমানে তিন কক্ষের একতলার একটি ভবনের ভেতর পাঠদানের কাজ চলছে। পাশের ব্যক্তি মালিকানা জমিতে বিদ্যালয়ের একটি টিনসেট ঘর রয়েছে। তবে সে ঘরটি রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে বর্তমানে পরিত্যক্ত হয়ে আছে। শুধুমাত্র একটি ভবন ছাড়া আশপাশে বিদ্যালয়ের কোনো নিজেস্ব জায়গা-জমি নেই। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০ জন।
আসরাফুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, শুধুমাত্র একটা তিনরুমের ভবন ছাড়া এখানে বিদ্যালয়ের আর কোনো জায়গা নেই। এই বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠতো দুরের কথা, ক্লাসরুম থেকে বের হলেই মানুষের জমি। মাঠ সংকটের কারণে,শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আগে(সকালে)কোনো দিনই অ্যাসাম্বলি করা হয় না। আগে ক্লাসরুমের সামনে বের হওয়ারমত ব্যক্তি মালিকানা একটু ফাঁকা জায়গা ছিল। এখন সেই স্থানে সুপারির চারা রোপন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় অনেকে জমি দান করতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক ওই জমির মালিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য। তারা এখন আর বিদ্যালয়ের নামে জমি দিতে চাচ্ছেন না। বিদ্যালয়টি জমির জটিলতা দীর্ঘদিনের। অতীতের কর্মকর্তাদের চেয়ে,বর্তমান কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়ের জমির ব্যাপারে একটু উদাসিনতা ভাব। এ কারণে, সরকারিভাবে কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহন ধির গতি।
প্রতিবেশি ওবায়দুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ করার পর প্রধান শিক্ষক আমাকে নৈশপ্রহরীর চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। বিনিময় গত দুই বছর আগে বিদ্যালয়ের সঙ্গে থাকা আমার ৩.২৫ শতক জমি লিখে নেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমার চাকরি দেননি। ইতোমধ্যে আমার চাকরি বয়স শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি স্কুলের কোনো জায়গায় গাছ লাগাইনি। ওটা আমার নিজেস্ব জমি। স্থানীয়রা বলছেন,নতুন ভবনটি সাড়ে তিন শতক শুধু বিদ্যালয়ের নামে। এখানে বিদ্যালয়ের কোনো অতিরিক্ত জমি নেই।
চকপলাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দীন বলেন, এখানে অল্প জায়গা হওয়ার কারণে আমাদের মাঠ বা ফাঁকা জায়গা নেই। তবে বিদ্যালয়টির নামে ৪৬ শতক জমি আছে। প্রতিবেশী একজন বিদ্যালয় নামে কিছু জমি দান করেছেন। বিনিময় তাকে নৈশ প্রহরীর চাকুরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো নৈশপ্রহরী নিয়োগের নির্দেশনা আসেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম ছানোয়ার হোসেন বলেন,জাতীয়করণকৃত ওই বিদ্যালয়ের জায়গা সংকটের বিষয়টি আমি জানি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলা হয়েছে, তাদের কাগজপত্র অফিসে নিয়ে আসতে। আর বিদ্যালয়ের জায়গা সম্প্রসারণ নিয়ম মোতাবেক করা হবে।