নকলা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৬২ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষদিন পর্যন্ত মোট জমা দিয়েছেন ৬১জন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আদাজল খেয়ে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। থেমে নেই প্রচার প্রচারনায় প্রার্থীরা। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার আশায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে দলীয় হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এবার প্রার্থীরা মনোনয়নের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। ইউনিয়নওয়ারী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সংখ্যা হলো-১নং গণপদ্দীতে ৬ জন, ২নং নকলা ইউনিয়নে ৯জন, ৩নং উরফাতে ৩ জন, ৪নং গৌড়দ্বারে ১০ জন, ৫নং বানেশ্বরদীতে ৯ জন, ৬নং পাঠাকাটা ইউপিতে ৫জন, ৭নং টালকী ইউপিতে ৯ জন, ৮নং চরঅষ্টধর ইউপিতে ৬ জন, ৯নং চন্দ্রকোনা ইউপিতে ৪ জন। এ নিয়ে মোট ৬১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত একপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রার্থীরা নিজের ছবি সংম্বলিত দোয়া,সমর্থন চেয়ে প্যানা, পোষ্টার, ব্যানার, ফেসটুন টানিয়ে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমতে পারে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারনা করেছেন। তবে যোগ্য প্রার্থীকেই জনগণ ভোট দিবেন বলে এমনটাই ভাবছেন স্ব-স্ব ইউনিয়নের ভোটাররা। সর্বোপুরি ভোটারের চেয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন এর উপর বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন। কেননা মনোনয়ন পেলে সহজেই নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া সহজ হবে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির মোটিভ কোন দিকে যায় সেই দিকেই নজর রাখছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাবার আশায় দলীয় হাইকমান্ডে তদবীর করছেন। আবার কেউ কেউ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কে কে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সেই দিকে স্ব-স্ব ইউনিয়নের দলীয় ভোটাররা চাতক পাখির মত চেয়ে আছেন।