পাবনার সুজানগরের নাজিরগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমানের বাবা মরহুম সৈয়দ আলী খানকে শান্তি কমিটির সদস্য আখ্যায়িত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মশিউর রহমান বলেন আমার বাবা মরহুম সৈয়দ আলী খান সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। শুধু তাইনা ১৯৫৬সাল থেকে ১৯৭০সাল পর্যন্ত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় তার ছিল অন্যতম অবদান এবং ত্যাগ। আর এরই প্রেক্ষিতে ১৯৭২সালে যখন নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয় তখন আমার বাবা সৈয়দ আলী খানকে ঐ কমিটির সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়। লিখিত বক্তব্যে মশিউর রহমান খান আরও বলেন আমার বাবা সৈয়দ আলী খান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন এবং ১৯৭০ ও ১৯৭৩সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী আহমেদ তফিজ উদ্দিন মাস্টারের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে দলকে সংগঠিত করেছেন। অথচ ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সাত্তার প্রামাণিক এবং আ.লীগ নেতা আবদুল গফুর মহরীসহ কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল আসন্ন ঐ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে তথা নির্বাচনী মাঠে আমার ইমেজ ক্ষুণœ করার লক্ষে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার মরহুম বাবা সৈয়দ আলী খানকে শান্তি কমিটির সদস্য আখ্যায়িত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামছুল আলম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন তোফা। স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির তার বক্তৃতায় বলেন মরহুম সৈয়দ আলী খান কখনও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক এবং মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম এবং তোফাজ্জল হোসেন তাদের বক্তৃতায় বলেন মরহুম সৈয়দ আলী খান ছিলেন একজন পাকবিরোধী মুক্তিকামি মানুষ। আর সেকারণে ১৯৭১সালে তিনি প্রকাশ্যে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন তার বক্তৃতায় বলেন এই সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাবাকে শান্তি কমিটির সদস্য বলা মানে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। কাজেই যে সকল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এই ষড়যন্ত্র করছেন খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।