কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার বাগডাঙ্গা ফকিরটারী এলাকার আবদুর রশিদের মেয়ে রশিদা খাতুন (৪০)। দু’পায়ই অচল। হাঁটুগেড়ে হাতে ভর করে অতিকষ্টে চলাচল করেন প্রতিবন্ধী এই যুবতী। তার মাঝে সংসারের কাজও সামলাতে হয় তাকে। তার এই বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা সবার চোখে পড়লেও তার ভিতরের কষ্টটা যেনো বোঝার কেউ নেই। পড়েন ৫ ওয়াক্ত নামাজ, সেই সাথে করেন তালিমও। তালিমেও যাতায়াত করেন হাঁটু গেঁড়ে দু’হাতে ভর করে। যেনো কষ্টের অন্ত নেই। এমন প্রতিবন্ধকতায় বিয়েও হয়নি তার। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটে দিনমজুর দরিদ্র পিতা আবদুর রশিদের। মেয়েকে হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্যও নেই তার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শারিরীক পিড়ায় বিছানায় কাতরাচ্ছে তার মা আনজু বেগম। এদিকে রান্নাঘর থেকে বের হলেন রশিদা খাতুন। এ ব্যাপারে রশিদার সাথে কথা বলতেই দু’চোখে জল ছলছল করছিলো তার। আর আকুতিভরা কণ্ঠে একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেন তিনি।
রশিদা খাতুন জানায়, ছোটবেলা থেকেই এভাবে কষ্ট করে চলাফেরা করছেন তিনি। একটি হুইল চেয়ার পেলে কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে তার। অন্তত আশপাশে চলাফেরা কিংবা তালিমে যাতায়াত করতে তেমন কষ্ট করতে হবে না তাকে। তাই দানশীল, বিত্তবান কিংবা মহৎ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান তাকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করলে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি। আর দোয়া করবেন প্রাণভরে।
রশিদা খাতুনের বাবা আবদুর রশিদ জানায়, মেয়ের এমন অবস্থা দেখে নিজেরই কষ্ট হয় অনেক। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে ওর মা। একদিকে স্ত্রীর ওষুধ কেনা, অপরদিকে সংসারের যাবতীয় খরচ, সবমিলে দিশাহারা তিনি। মেয়ে একটি হুইল চেয়ার কিনে চাইলেও দেয়ার সমর্থ্য নেই তার। তাই মেয়ের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন তিনি।