রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা কয়েক হাজার নারী-পুরুষ সারিতে দাঁড়ান। সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়।
মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে আসা উজেলার মহিষকুন্ডি গ্রামের আশরাফ আলী ও মাখনপুর গ্রামের জুলখার মতো কয়েক হাজার নারী-পুরুষ সকাল নয়টার আগেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে এই হাসপাতালে আসেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে লম্বা সারির দেখা মেলে। লম্বা সারিতে কেউ ছাতা ও টিকা নেওয়ার স্লিপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে যখন দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করা হয়, যাঁদের মুঠোফোনে টিকা নেওয়ার এসএমএস যায়নি, তাঁরা চলে যান।
এই টিকাকেন্দ্রে কথা হয় উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের আবদুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বাজে সাড়ে সকাল ১১ টা। টিকা নিতে আসা যত মানুষের ভিড় দেখছি। টিকা দিতে পারবো কি না তা বুঝতে পারছিনা।
মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৬ হাজার ৮২৬ জন। নিবন্ধনকারিদের পযায়ক্রমে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টিকা কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকরা গুরুত্ব দিয়ে টিকা প্রদান করছেন।
মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, করোনা মোকাবিলায় টিকার কোন বিকল্প নাই। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিদিন নারী-পুরুষেরা টিকা নিচ্ছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্র টিকা নিতে আসা মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সকল মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিদিন আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।