জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর শহরের সীমারপাড় জামে মসজিদে বসে গোপন বৈঠকে নাশকতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পরিকল্পনা কালে জামায়াতে ইসলামীর ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ। তাদের রিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পুলিশের করা নিরাপত্তা পাহারায় তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের সীমারপাড় জামে মসজিদ থেকে জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীরসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় একটি সাদা রঙ্গের প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম স¤্রাটের নেতৃত্বে পুলিশ এই অভিযান চালায়। পরে রাতে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াত নেতাদের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় আটককৃতদের মধ্যে একজন ভ্যানচালক ও আরেকজন সাধারণ মুসল্লীকে ছেড়ে দেয়া হয়। ১৪ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার সত্যতা পায় পুলিশ।
জামায়াতের আটক নেতাকর্মীরা হলেন জামালপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী (৬০), উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বাট্টাজোড় এলাকার আদিল ইবনে আওয়াল (৫০),সক্রিয় জামায়াত কর্মী আইরমারী গ্রামের মাহাবুব জামি (৪৮), পৌর শহরেরর টিএনটি রোডের আবদুল আজিজ(৫১), সীমারপাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৬০),নয়াপাড়া গ্রামের সুলতান (৪৮),উজান কলকীহারা গ্রামের আবদুল মালেক (৪৭), মালিরচর মৌলভীপাড়া গ্রামের রাসেল মাহমুদ (৪৫),ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার কায়রা হাটি এলাকার খালেকুজ্জামান (২১), আনিছুজ্জামান (২২), ছোট দাসপাড়া এলাকার নিয়ামত উল্লাহ (৩৪),পাগলা থানার দক্ষিণ হারিনা গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৪২),মেলান্দহ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের জুলফিকার আলী (৪৫) ও নান্দাইল উপজেলার কাকচর গ্রামের আশরাফুল আলম (৩৫)।
বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যে কোন ধরনের নাশকতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।