নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দির ভাঙচুরের গুজম ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের ফরমানপুর হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, তার ও তার ভাই আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে ২শতক জমি কেনার জন্য প্রতিবেসী ফলিন ওড়াও এর স্ত্রী তারামনি রাণী ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। ৬০ হাজার টাকা বায়না দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বাকী ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি বা জমিও রেজিষ্ট্রি করে নেননি। এনিয়ে থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বৈঠকে তারামনি বায়নার টাকা ফিরিয়ে নেন। আমিনুল ইসলাম সে জমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করেন। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে তিনি দেখতে পান যে সে জমির কাঁটাতারের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে ৩০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমিনুল ভাঙ্গা বেড়া মেরামত করে তার জমির উপর টিন দিয়ে ঘেরা তারামনির তৈরি করা একটি অস্থায়ী টয়লেট ভেঙ্গে অপসারণ করেন।
প্রতিপক্ষরা এই ঘটনায় ৩৩৩ নং এ ফোন দিয়ে আদিবাসীদের বাড়ীঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে। মহাদেবপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ৩৩৩ নং থেকে ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু বাড়ী বা মন্দির ভাঙ্গার কোন আলামত দেখতে পাননি।
এব্যাপারে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ তারামনি রাণী, মুনকা ওরাও এর ছেলে ভদল ওড়াও, কমল ওরাও এর ছেলে শ্যামল ওরাও, কিনা আলীর ছেলে মিলন ইসলাম ও মৃত ঘুকু আলীর ছেলে সোলাইমান আলীর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহাদেবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মন্দির ভাঙচুরের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানাতে চাইলে ফলিন ওড়াও বেড়া ভাঙচুর ও গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।