লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে গণঅনশন, গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, প্রতিমা, পূজাম-প, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামগতি উপজেলা শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
শনিবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে এ গণঅনশন ও গণঅবস্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষেরা অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টায় গণঅনশনকারীদের সরবত খাইয়ে অনশন ভাঙলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফউদ্দিন আজাদ সোহেল। পরে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ থেকে আলেকজান্ডার বাজার সংলগ্ন মহাপ্রভু সেবাশ্রমে এসে শেষ হয়।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফউদ্দিন আজাদ সোহেল এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রঞ্জিত কুরি, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয়ন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি নাথ, রামগতির হাট গোপাল মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণান্দ দাস ব্রমচারী, চরসীতা গৌরগবিন্দ আশ্রমের আহ্বায়ক স্বরুপ মজুমদার প্রমূখ।
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গণঅনশন ও গণঅবস্থানে বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় আমরা সংক্ষুব্ধ ও বিক্ষুব্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা মানা যায় না। এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে। আমরা আর নির্যাতিত হতে চাই না। যাঁরা কোনোদিন রাস্তায় নামেননি, তাঁরা ন্যায় বিচারের দাবিতে সেই ভোর থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছি। সাম্প্রদায়িক এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ডাকা গণঅনশন, গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি শান্পিুর্ন ভাবে শেষ হয়েছে। এ সময় কোন ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সার্থে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।