মণিরামপুরে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নিহত পাঁচ সূর্য সন্তানের শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। শনিবার সকালে উপজেলার চিনাটোলা বাজারের পাশে বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পু®পমাল্য অর্পণ করাসহ তাঁদের জীবনীর উপর আলোচনা করা হয়। শহীদ এ পাঁচ সূর্য সন্তানরা হচ্ছেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আহসান উদ্দিন খান মানিক, ফজলুর রহমান ফজলু, সিরাজুল ইসলাম শান্তি ও মাশিকুর রহমান তোজো।
শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পু®পমাল্য অর্পণ করেন, যশোর জেলা ওয়ার্কাস পার্টি, কৃষক সংগ্রাম সমিতি, জাতীয় ছাত্রদল, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফন্ট, ছাত্র মেত্রী, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, শহীদ আসাদুজ্জামান স্মৃতি সংঘ প্রমুখ।
পু®পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিস্তম্ভের সামনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। যশোর জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সদস্য বাবুর আলী গোলদার, সনজিৎ বিশ্বাস, কেশবপুরের সভাপতি শওকত হোসেন, ছাত্র মৈত্রী নেতা শাহরিয়ার বাবর বাধন, প্রণব রায় প্রমুখ।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ২৩ অক্টোবর সকালে মণিরামপুর উপজেলার রতেœস্বরপুর গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র ওই পাঁচ যুবক। কিন্তু পাকহানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকারদের চোখ এড়াতে পারেননি তাঁরা। স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার আবদুল মালেক ডাক্তারের নেতৃত্বে মেহের জল্লাদ, ইসাহাক, আবদুল মজিদসহ বেশ কয়েকজন রাজাকার তাদের আশ্রয়স্থল চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁদেরকে আটক করে। এ
রপর তাদেরকে চোখ বেঁধে মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজারের পূর্বপাশে হরিহরনদীর ব্রিজে নেয়া হয়। সেখানে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীরে লবণ দেয়াসহ তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানোর পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে প্রতি বছর ২৩ অক্টোবর পাঁচ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের জীবনীর উপর আলোচনা করা হয়।