নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে নিখোঁজের ৫দিনের মাথায় নুসরাত খাতুন বাবলী ওরফে জেমি নামের সাড়ে ৬ বছরের শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ অক্টোবর ২০২১) সকালে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর দুবলিবনা বিলে একটি ধানের ক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের ইমন আলী (১৫) ও তার পিতা ফাইজুল ইসলামকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ।
নুসরাত খাতুন জেমির বাবা বাবু হোসেন বলেন, গত ১৯ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে দাদুকে খুঁজতে বাড়ি হতে কিছু দূরে কদমতলা বাজারে যায় জেমি। সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ওই দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আটক ইমন আলী জানায়, ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে সে বাড়ির উঠানে বসে গরুর খাবারের জন্য খড় কাটছিল। এমন সময় জেমি এসে খড় ছিটাছিটি করতে থাকলে ইমন তাকে একাধিকবার নিষেধ করে। কথা না শুনলে ইমন হাতে থাকা হাঁসুয়ার বিপরীত দিক দিয়ে জেমির ঘাড়ে আঘাত করে। এতে জেমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ইমনের ধারণা জেমি মারা গেছে। এরপর ইমন জেমিকে অজ্ঞান অবস্থায় রান্নাঘরের পুরাতন পরিত্যক্ত টয়লেটের হাউজের মধ্যে রেখে দেয়।
পরবর্তীতে বুধবার দিনগত রাতে জেমির মরদেহ সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বস্তার মুখ বেঁধে প্রায় এক কিলো মিটার দূরে আব্দুলপুর গ্রামের দুবলিবনা বিলে একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সকালে ইমন ও তার বাবা ফাইজুল ইসলাম কে আটক করে এবং ধান ক্ষেত থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইমন ও তার বাবা ফাইজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।