শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মুকুল হোসেনকে কাফনের কাপড়, জবাই করা মুরগীর মাংসসহ অন্যান্য মৃত্যু পরবর্তী সরঞ্জাম পাঠিয়ে চিরকুট লিখে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুুতি নিতে হুমকি দেওয়া যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে সাধারণ ডায়েরির পর রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি খলিসশাকুড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবক ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামানের ছেলে সুমন আহমেদ (৩২)। ২৫ অক্টোবর তাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুমন জানায়, তার বাবা ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান কে বিভিন্ন কাজে উদ্যোক্তা মুকুল অসহযোগিতা করত। এ ক্ষোভ থেকেই মুকুলকে সতর্ক করতে সে জবাই করা মুরগীর মাংস, কাফনের কাপড়, সাবান, আগরবাতি ও গোলাপজলসহ বাক্স করে চিরকুট লিখে মুকুলের বারান্দায় রেখে আসে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মুকুল সকালে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ ঘটনা তদন্তে নামে। তদন্তের একপর্যায়ে কাফনের কাপড় যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে সেই দোকান খুঁজে বের করে এবং ওই দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। পরে রাতেই নিজ বাড়ি থেকে হুমকীদাতা সুমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অকপটে সব স্বীকার করে। এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, সুমন কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করে সবসময়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় চুরির অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী মুকুল জানায়, এ কাজটি তার একার বুদ্ধিতে করার কথা নয়। অবশ্যই এর পেছনে কারও হাত রয়েছে। তিনি নিজের জীবনের প্রতি সংশয় প্রকাশ করে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, কাফনের কাপড়ের সূত্র ধরে আমরা প্রথমে দোকান শনাক্ত করি। এরপর ওই দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।