সরাইলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. হোসেন মিয়া। অভিযোগ ওঠেছে সরাইল সদরে তৃণমূলের ভোটের রায়কে হত্যা করে শান্তি কমিটির সদস্যের ছেলে সেলিম খন্দকারকে মনোনয়ন পেতে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন। মনোনয়নের বিষয়টি তদন্ত করে পুনরায় বিবেচনার দাবী জানিয়েছেন তারা। অবশ্য সকল অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওই আ.লীগ নেতা। মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হোসেন মিয়া। ওই বক্তব্যে বলেন ছাত্রজীবন থেকে গত ২২ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতি করে আসছি। ভূমিকা রেখেছি সকল আন্দোলন সংগ্রামে। গত ১৯ অক্টোবর জেলা আ.লীগের সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন তৃণমূলের ভোটের আয়োজন করেন। ১৬ ভোটের সব কয়টি ভোট পেয়ে আমি প্রথম হয়েছি। আর সেলিম খন্দকার ১২ ভোট পেয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়। সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও আমি মনোনয়ন বঞ্চিত কেন? নগদ ১৫ লাখ ও চেকের মাধ্যমে আরো ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রাতের আধাঁরে এক প্রবাসীকে দিয়েছেন মনোনয়ন। যিনি জীবনে কোন দিন আ.লীগ করেননি। জয়বাংলা ও বঙ্গবন্ধুও বলেননি। ওঁর বাবা ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য। বর্তমানে জাপা নেতা। তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী বলেন, শুনেছি সেলিমের আব্বা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। তবে আমাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই। নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা বিশ্বাস ও তৃণমূলের রায়কে হত্যা করেছেন সরাইল আ’লীগ। সরাইল সদর ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়নের (নৌকা) বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য আমি দলের কর্ণধার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযুক্ত সেলিম খন্দকার বলেন, তার বাবার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। মনোনয়ন আনতে একটি টাকাও কাউকে দেয়নি। উপজেলায় আমার কোন পদ পদবী নেই। তবে আমি জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক। সরাইল উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন সংবাদিক সম্মেলনে পেশ করা সকল অভিযোগকে মিথ্যা বানোয়াট অভিহিত করে বলেন, টাকার বিনিময়ে নয় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।