রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্ব গ্রহণের পর বদলে গেছে উপজেলা প্রশাসনের চিত্র। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। প্রশাসন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বিভিন্ন দফতরে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। ফলে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছেন।
সম্প্রতি চলতি বছরের ১৮ মার্চ তানোরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ। তিনি প্রশাসনের ৩৩ তম বিসিএস ক্যাডার। নবনিযুক্ত ইউএনও এখানে যোদানের পর রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সঙ্গে উন্নয়ন কাজে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান ক্ষমতাসিন আ.লীগ দলের নেতাকর্মী আর সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত ও পুরুস্কৃত হচ্ছেন। তাঁর প্রচেস্টায় স্থানীয় এমপির পরামর্শে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদবির করে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ অব্যহত রয়েছে।
তিনি এমপি মহোদয়ের আস্থাভাজন হওয়ায় উন্নয়ন কাজে সহায়তা পেতে শুরু করেছেন। বর্তমানে এ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। অনেকেই তা দেখে মুগ্ধ হয়ে চমকে উঠছেন।
তানোর উপজেলা প্রশাসন এখন আর পূর্বের অবহেলতি চত্বর নয়। এখানে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। বর্তমান ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে সর্বস্থরের মানুষের মাঝে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম বলেন, সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়ন ও সেবা করার জন্য অবিরাম গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও স্যার। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এমপি মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তিনি। রাজশাহী জেলার অনুন্নত ও অবহেলিত তানোর উপজেলাকে দেশের মানচিত্রে উন্নত প্রথম শ্রেণির উপজেলা হিসেবে গড়তে বা চিহ্নিত করতে প্রচেস্টা চালাচ্ছেন ইউএনও স্যার বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এমন একটি উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর শুরু করেন কর্মপরিকল্পনা। প্রথমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে জিও এনজিওর সহায়তায় বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা হাতে নেন। শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভিজিত করেন। পরে কৃষিপ্রধান এ উপজেলাকে বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
এছাড়াও তিনি এঅঞ্চলে কৃষিতে উন্নয়ন ঘটাতে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে গিয়ে কৃষকের উন্নয়নে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। উপজেলা কৃষি অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলে পোকা-মাকড় সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা দেয়া হয়। রোগ বালাই সম্পর্কে সর্তক করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এতে সহায়তা করেন। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ঘটাতে মৎস্যজীবী খামারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা করা হয়।
তাঁর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের বহুতল আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে তিনি উপজেলা চত্বরে ৪টি গেটের মধ্যে একটি অত্যাধুনিক গেট নির্মাণ করবেন। এ ছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা চত্বরে ফুলের বাগান নির্মাণ করা হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ও যৌতুকসহ নারীশিশু নির্যাতন রোধে পাড়ায় পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন বিলি করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় এসব অপরাধের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসম্পর্কে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এঅঞ্চলের অবহেলিত নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে তিনি বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ও অধিকার পাইয়ে দেবার লক্ষ্যে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এখানকার জনগণের উন্নয়নে সুযোগ সৃষ্টি করে সেবা করার সর্বাধিক কৃতিত্ব এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মহোদয়ের।