শেরপুরে শিশু ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় মো. গোলাপ হোসেন (৪৭) নামে এক
ব্যক্তিকে ৪৪ বছরের কারাদ- দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার বিকেলে
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা
জজ) মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। গোলাপ
হোসেন ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের মো. ছাবেদ
আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, রায়ে গোলাপ হোসেনকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
কারাদন্ড- (৩০ বছর) ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের
কারাদন্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গোলাপ হোসেনের স্ত্রী কুলছুম বেগম (৪২),
মেয়ে ময়না আক্তার (২০) ও শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম আনু (৫৭) কে বেকসুর খালাস
দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল দুপুরের দিকে
ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্য ডেফলাই গ্রামের বাড়িতে খেলা করা অবস্থায় সাড়ে ১১
বছর বয়সী ভিকটিম শিশুকে খাবার, ভালো পোশাক ও লেখাপড়ার প্রলোভন দেখিয়ে
অপহরণ করে রাজধানী ঢাকার নদ্দা এলাকায় নিয়ে যায় প্রতিবেশী গোলাপ হোসেন।এক পর্যায়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় রেখে তাকে কয়েক দিন ধর্ষণ করেছে গোলাপ
হোসেন। পরে ওই ঘটনায় একই বছরের ২ মে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী
থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানার
তৎকালীন এসআই মো. ইউনুছ আলী বিশ্বাস ধর্ষক গোলাপ হোসেন, তার স্ত্রী
কুলছুম বেগম, মেয়ে ময়না আক্তার ও শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে
আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসকসহ
৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।