বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর থেকে গত মঙ্গলবার রাতে খাদ্য বান্ধব ও ভিজিডি কর্মসুচির প্রায় পৌনে ১১ হাজার কেজি চোরাই চাল উদ্ধার করা হয়। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রাবনী রায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে চাল জব্দ ও উদ্ধার করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের পুর্ব ডালম্বা গ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে আল মামুন নসরতপুর ডিগ্রী কলেজ এলাকার ইসমাইল হোসেন মন্ডলের চাউল কল ভাড়া নেয়। অসাধু ব্যবসায়ী আল মামুন বৈধ ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘ দিন থেকে চোরাই চালের ব্যবসা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রাবনী রায় ওই চাউল কলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ওই চালকলের গুদামের ভিতর মজুদ করা খাদ্য অধিদপ্তরের ছাপানো ২০২১/ ২০২১ সালের ২১৪ টি চটের বস্তায় থাকা ১০ হাজার ৭ শ’ কেজি চাল ঢেলে প্লাস্টিক বস্তায় রি-প্যাক করা হচ্ছিল। সরকারি ক্রয় মুল্য হিসাবে জব্দ করা চালের মুল্য ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের জব্দ করা ৫০ কেজি ওজনের ২১৪ বস্তা চাল থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।