আড়ংঘাটা থানায় ইজিবাইক চালক আঃ রশিদ ঢালী হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। গত সোমবার আড়ংঘাটা থানা পুলিশ এ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো নিহতের জামাই মোঃ শেখ রাশেদ(২৮) ও তার ছোট ভাই শেখ রকিবুল(২২)। পুলিশ ঐ দিন সকালে রাশেদকে যাব্দিপুর তার শশুর বাড়ি ও রকিবুলকে পাবলা কবির বটতলা থেকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে এ হত্যাকা-ের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে তেলিগাতী বাইপাসের ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং রাশেদের সন্দেহজনক গতিবিধি বুঝতে পেরে এসি দৌলতপুর জোন অমিত কুমার বর্মণের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত মোঃ আনিসুজ্জামান, সেকে- কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে। এ ঘটনায় থানায় মামলার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে সক্ষম হলো পুলিশ। এ হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী জামাই রাশেদ। পুলিশ অভিযানে প্রথমে সকাল ৮টার দিকে নিহত রশিদের জামাই রাশেদকে যাব্দিপুর তার শশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আটক রাশেদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত তার ছোট ভাই রকিবুলকে সকাল সোয়া ৯ টার দিকে পাবলা কবির বট তলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ তেলিগাতি বাইপাসের ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে। স্বামী-স্ত্রী ও শশুরের সাথে দন্দের জের ধরেই এহত্যাকা-ের পরিকল্পনা করে জামাই রাশেদ। আর এ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু জামাই রাশেদ দৌলতপুর বাজার থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনে আনে। ঘটনার দিন রাশেদ তার ভাই রকিবুলকে ডেকে নিয়ে এলাকায় যায় এবং কৌশলে তার শশুরকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে হত্যা করে তেলিগাতী রিপন ফকিরের মাছের ঘেরে ফেলে রেখে অবাধে স্থান ত্যাগ করে। নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম বাদী হয়ে গত ২৪ অক্টোবর অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আড়ংঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।