রাজশাহীর তানোরে আদিবাসির জমি দখলে নিতে গভীর রাতে আদিবাসী পল্লীর ঘর-বাড়িতর দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে প্রভাবশালী ভুমিদশ্য হামিদুর রহমান।
এসময় খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে আপোষের জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এনিয়ে আদিবাসী পল্লীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর-মান্দা উপজেলার সীমান্ত ঘেষা চৌবাড়িয়া হাটের দক্ষিনে তানোর উপজেলার মধ্যে মালশিরা আদিবাসী পল্লীতে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন মস মুর্মুর পুত্র দেবেন মুর্মু।
গত ২৩ অক্টোবর রাতে তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের শরিফ আলীর পুত্র হামিদুর রহমান ও তার ভাইসহ প্রায় ২৫/৩০ জন লাঠি সোটা হাসুয়া দ্যাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১ টার দিকে মালশিরা আমিবাসী পল্লীতে এসে সকলের ঘরের দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে দিয়ে সম মুর্মুর বাড়ি ভাংচুর শুরু করেন।
এসময় তানোর থানা পুলিশে ফোন দেয়া হয়ে রাতেই তানোর থানার এসআই নিজাম সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে আদিবাসীর ঘর থেকে মুক্ত করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনে আটক করে পরে ছেড়ে দেন।
এনিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন পুলিশ। এঘটনার পর থেকে ভুমদশ্য হামিদুর আদিবাসী দেবেন মুর্মুকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছেন। প্রভাশালী হামিদুরের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আদিবাসীরা।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত হামিদুর রহমান বলেন, আমি দেবেন মুর্মুর ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ম ও আইন মেনে জমি কিনেছি ওই জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র জানিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কঅমকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন,খবর পেয়ে কামারগাঁ ইউপির দায়ত্ব প্রাপ্ত এসআই নিজাম উদ্দীকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র আনা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।