সাব-রেজিষ্ট্রার কারাগারে থাকায় গত ১ মাস থেকে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার জমিক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। ফলে ৩২ জন দলিল লেখকসহ অসংখ্য জমি ক্রয় বিক্রয়কারী বিপাকে পড়েছেন। বেড়েছে ভোগান্তি।
চর রাজিবপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস সুত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর আগে মারা যাওয়া নারীকে জীবিত দেখিয়ে অন্য নারী দিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করার অপরাধে সাব-রেজিষ্ট্রার নজরুল ইসলাম গত ১০ অক্টোবর থেকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে রয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ৩ ফ্র্রেবুয়ারি মাসে দৌলতি নেছা নামের এক মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে ৫০ শতক জমি গোল্ডেন লাইফ একাডেমি নামের এক প্রতিষ্টানের নামে রেজিষ্ট্রি করা হয়।
মৃত দৌলতি নেছার নাতী আবদুল করিম বাদী হয়ে চর রাজিবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার সুত্র ধরে সংবাদ সহ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সিআইডির তদন্তে প্রমানিত হয়েছে দলিল টি ভুয়া।
ফলে ভূয়া সনাক্তকারী নারী জহুরা খাতুন (৬০) সহ সাব-রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম (৫৭) ২০ দিন যাবত কুড়িগ্রামে হাজত বাস করছেন।
এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর সাব- রেজিষ্ট্রি অফিস সুত্রে জানান, যেহেতু সাব-রেজিষ্ট্রার হাজতে সে জন্য রৌমারী সাব-রেজিষ্ট্রার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম চলবে।