লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ওয়াপদা খালে উপর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে খালে ডুবে নিখোঁজ নির্মাণ শ্রমিক মো: বাবুল হোসেনের (৪৫) মরদেহ ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী খালে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। বাবুল ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর এলাকার সঞ্জু মিয়া ছেলে ও সেতু নির্মাণ শ্রমিক। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক লিটন আহমেদ। তিনি আরো জানান, এর আগে বুধবার সকাল ৬টার দিকে নির্মাণাধীন ওয়াপদা ব্রিজের কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট ড্রাম উদ্ধার করতে গিয়ে বাবুল পানির ¯্রােতে তলিয়ে যান। স্থানীয়রা তাদের খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা উদ্ধারচেষ্টা চালিয়েও সন্ধান পাননি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালে মৃতদেহ ভেসে উঠেছে বলে স্থানীয়ভাবে তাদের খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহতের স্বজনদের কাউকে না পাওয়া যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভবহয়নি। তবে স্থানীয়রা জানান,ওয়াপদা খালের ওপর সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরজাহান এন্টারপ্রাইজ ওয়াপদা ব্রিজ নির্মাণ কাজটি পেয়েছেন। কয়েকমাস ধরেই নতুন ব্রিজ নির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। বুধবার সকালে ফাইলিং কাজ চলছিল। এ সময় তারা শুনতে পান নির্মাণ শ্রমিক ড্রামটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করতে গেলে তিনি ¯্রােতে হারিয়ে যান। ঘটনা দেখেও সহকর্মী তখন তাকে উদ্ধার করতে পারেননি। এঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ওই ব্রিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরজাহান এন্টার প্রাইজ সমন্বয়কারী জিল্লুর রহিম জানান, নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ করতে এসে নির্মাণ শ্রমিক বাবুল এ সময় একটি ড্রাম উপরে তোলার সময় ড্রামটি খালে পানিতে পরে যায়। এসম বাবুল পানিতে নেমে উদ্ধারের চেষ্টাকালে প্রবল ¯্রােতে ডুবে যায়। উদ্ধারে তার সাথে সহপাটি অন্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন কিন্তুু এরআগেই তিনি ¯্রােতে তলিয়ে যান। তখন ফায়ার সার্ভিসকে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানো হয়। তারা উদ্ধারে ব্যার্থ হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার বাবুলের মৃতদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তারা অন্য কোন অভিযোগ পান নাই। এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে এ ঘটনায় মানবিক বিবেচনায় বাবুলের পরিবারকে সমর্থ অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল প্রর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মৃতদেহ নিতে এসে নিহতের পরিবার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।