এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে নতুন করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর খুচরা বাজারে সরু ও মাঝারি আকারের চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। এছাড়াও আড়তগুলোতে দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ও মুদিও দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন সরকারিভাবে এখনই তদারকি না করলে চলমান ঊর্ধোগতির বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে মহানগরীর খুচরা চাল বিক্রেতা ও আড়ৎদারদের ভাষ্য, মিল পর্যায় থেকে চালের দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ছে। তারা বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে মিলাররা বস্তা প্রতি চালের দাম বাড়িয়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, আটাশ চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকায়। যেটি গত সপ্তাহে ছিল ২৫০০ টাকা। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ২৯৫০ থেকে তিন হাজার টাকা। যেটি গত সপ্তাহে ছিল ২৮৫০ টাকা। এছাড়াও স্বর্ণা ২১০০ থেকে বেড়ে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর এ খুচরা বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে চালের কেজি ছিল ৫৫ টাকা, এখন সেই একই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা দরে। আর ৫০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। এছাড়াও ৪৫ টাকা কেজিতে নেমে আসা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। তবে দুই-একদিনের মধ্যে চালের দাম কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস বলছে, প্রতি কেজি সরু চাল সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি দরে।
বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি চিকন চাল আগে সর্বনিম্ন ৫৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৫৯ টাকা। মাঝারি আকারের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা।
এ বিষয়ে মহানগরীর বহরমপুর এলাকার এক ক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, এখন তো সব কিছুরই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে নতুন করে আবার চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মত সাধারণ মানুষ কী করবে, পরিবার পরিজন নিয়ে কি খেয়ে বাঁচবে!
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর বিভাগীয় সহকারি পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম ভোক্তাবান্ধব রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম সামনে এলেই আইনের আওতায় আনা হবে।