রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে আবারো অবৈধ সুতিজাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বারনই নদীর মোহনগঞ্জ, হাসনিপুর এবং আচিনঘাট এলাকায় নদীতে অবৈধভাবে সুতিজাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে আসছিল নয়ন হালদার সহ আরো দুইজন ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সকালে বারনই নদীর তিনটি স্থানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল করিমের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সুতিজাল উচ্ছেদ করে তা ঘটনাস্থলে জনসম্মুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বারনই নদীতে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে জোরপূর্বক সুতিজাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার শুরু করে আসছিল তারা। মৎস্য আইন অমান্য করে সকল প্রকার মাছ শিকার করে আসছিলেন সুতিজালের মালিকরা।
নদীতে সুতিজাল দিয়ে মাছ শিকারের ফলে কৃত্রিম ভাবে নদীতে ¯্রােতের সৃষ্টি করা হয়। এর কারণে সুতিজালের এক পাশে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ওই এলাকার জমিতে ফসলের চাষাবাদ ব্যাহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা। সুতিজালের কারণে ওই নদী দিয়ে কোন মাছ বের হওয়ার সুযোগ পেত না। যে সকল মাছ নদীতে চলাচল করে তা ওই সুতিজালের মধ্যে দিয়েই যেতে হতো। সুতিজালের ভিতরে কোন মাছ প্রবেশ করলে সে আর বের হওয়ার সুযোগ পেত না। উচ্ছেদকালে এনএটিপি সম্প্রসারণ প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান, ক্ষেত্র সহকারী আবদুল গাফ্ফার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল করিম জানান, নদীতে অবৈধভাবে সুতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করা যাবে না। এটি আইনগ দন্ডনীয় অপরাধ। নদীতে যারাই সুতিজাল দিয়ে মাছ শিকারের চেষ্টা করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুতিজাল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে মুন্টু হালদারের সুতিজাল উচ্ছেদ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।