রাজশাহীর মোহনপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১২ নভেম্বরের পর। আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারের নিয়ম নেই। মোহনপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংক্ষিত আসনের নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে উপজেলার ৬নং জাহানাবাদ ইউনিয়নে প্রতীক বরাদ্দের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো.হযরত আলী তার নিজ ৪নং ওয়াডের ধোরশা বাজারে গত ২০১৬ সালের নৌকা প্রতীকের পোস্টার দড়িঁ দিয়ে ঝুলিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ঝুলিয়ে রাখায় এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
মঙ্গলবার উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা বাজারে গিয়ে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া পর মো. ভুট্রু রহমান নামের এক চা দোকাদার নৌকা প্রতীকের পোস্টার ঝুলিয়েছেন। আর বেশি কিছু না বলে সাবাই চলে যান।
আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাহানাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীক পেয়েছিলেন মো. হযরত আলী। তিনি বিএনপির প্রার্থী বতমান চেয়ারম্যান মো. এমাজ উদ্দিন খানের কাছে ১ হাজার ৯ শত ভোটে পরাজিত হন। আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান জাহানাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপ্রত্র দাখিল করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে নৌকার পোস্টার লাগানো কারণে অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন। তবে তারাও বসে নেই সকাল থেকে গভীর রাত পযন্ত নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাহানাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. হযতর আলীর কাছে পোস্টার ঝুলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমি নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। এবার নির্বাচনে আবারও নৌকার প্রতীক পেয়েছি। গত নির্বাচনের পুরোনো পোস্টার লাগানোর খরব শুনেছি। যে কর্মী পুরোতন পোস্টার লাগিয়েছেন তাকে পোস্টার গুলো খুলে নিতে বলা হয়েছে। মো. ভুট্রু রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মো. হযরত আলী নৌকার প্রতীক পাওয়ার গত নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানো হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কিছুই জানেন না।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে পোস্টার লাগানো ও প্রচার প্রচারণার নিয়ম নেই। কোন প্রার্থী যদি প্রতীকে বরাদ্দের আগেই পোস্টার লাগিয়ে থাকেন। সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। কোনো প্রার্থী আচারণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোহনপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই হবে ৪ নভেম্বর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর। এ ছাড়া ১২ নভেম্বরের পর দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। নির্বাচন হবে ২৮ নভেম্বর।