লাকসাম পৌর শহরের পশ্চিমগাঁওতে স্থাপত্য শৈলীর ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট পুরনো দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ। ঐতিহ্য ও স্মৃতি সকলের সামনে দৃশ্যমান। তৎকালীন হোমনাবাদ পরগনার জমিদার এশিয়ার মহিয়সি নারী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ১৮৭৩ সালে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মসজিদটি দেখতে খুবই নান্দনিক। মসজিদের ভিতরের দেয়াল, মিম্বর, আর মোয়াজ্জিনের আযান দেয়ার জায়গায় দুই ধরনের টাইলসের কারুকাজ। তৎকালীন সময়ের টাইলস গুলো ছিল খুবই দৃষ্টিনন্দন। দেয়ালের উপরের অংশের টাইলস গুলোতে রয়েছে গোলাপী, সাদা আর নীল রঙের কারুকাজ। আর নিচের দিকের টাইলসে হালকা শেওলা সবুজ রঙের ডিজাইন। মসজিদের ছাদে রয়েছে ১০টি গম্বুজ। মাজখান বরাবর রয়েছে বড় একটি গম্বুজ। এই গম্বুজের চার ধারে মাইকগুলো লাগানো। বড় গম্বুজের চার পাশে আছে ৯টি গম্বুজ। মসজিদটিতে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক পুরনো এই মসজিদটি নীরব স্বাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটির ভেতরের অংশে ফুল, ফল প্রভৃতির নকশা আঁকা আছে। মসজিদের কারুকাজ অত্যান্ত শিল্প আঙ্গিকে সম্পূর্ণ আগের নির্মিত হলেও আজো আপন শিল্প আঙ্গিকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। এ মসজিদটি স্থাপত্য কীর্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। মসজিদটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক, চমৎকার নকশা। সুলতানী ও মুঘল এ দুই আমলেরই স্থাপত্য রিতির সু-স্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে। মুসল্লিদের অজু করার সুবিধার্থে মসজিদের পাশে পুকুর ও অজুর ঘাটলা রয়েছে। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটিকে স্থাপত্য স্বীকৃতি দিয়েছে। মসজিদটিতে প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লি নামাজে শরীক হন। মসজিদের দক্ষিণ পাশেই চিরশায়িত নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর কবর। নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর বংশদর মুহাম্মাদ ফজলে রহমান চৌধুরী আয়াজ জানান মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষন ও সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করছি।