জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতে সেদিন জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নৃশংশভাবে হতা করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ স্বপরিবার হত্যাকান্ডের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে।
বুধবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা ও ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে বিশেষ বর্ধিত সভার আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিবে তাদের আজীবন দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মজিদ, সহসভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধূরী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার, উপ-প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আবুল হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল হোসেন, হুমায়ন সুলতান সা’দাব, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সহসভাপতি বায়েস আহম্মেদ ঝিমু, রুহুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিমুল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবু হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান জনি, বাপ্পী হোসেন, মেহেদি হাসান রাতুল, সেতু প্রমূখ।
সভায় ১৬ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মনোহরপু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমাদানকারি মোস্তফা মহিতুজ্জামান ও দিপালী রায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বর্ধিত সভা সূত্রে জানাগেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পদধারি কোন নেতা নৌকার বিপক্ষে অবস।থান নিলে সাময়িক বহিস্কার, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কেউ নৌকার বিপক্ষে কাজ করলে তাকে আজীবন বহিস্কারসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।