বিরলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২১ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতিক পায়রা অবমুক্তকরণ, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী ও যান্ত্রিক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহষ্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর বিরল স্টেশন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। লিডার হাবিবুর রহমান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাব কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম। পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতিক পায়রা অবমুক্তকরণ করে অতিথিবৃন্দ কুচকাওয়াজ ও যন্ত্রপাতি পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। পরে যান্ত্রিক র্যালি বিরল পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে। সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে পরবর্তীতে বিভিন্ন কল-কারখানা, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনসমূহ পরিদর্শন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে বলে স্টেশন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফায়ার সার্ভিস এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আমাদের বিপদে সবার আগে পাশে এসে দাড়ান। বিপদ থেকে উদ্ধারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। একসময় জেলা শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছতে অনেক সময় লাগতো এবং এরইমধ্যে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতো। এখন উপজেলা পর্যায়ে অফিস হয়েছে, গাড়ী ও জনবল রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিরলের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস শুভ উদ্বোধন করেছেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা জীবনবাজি রেখে দূর্ঘটনা কবলিত মানুষ ও জানমাল উদ্ধার কাজ করেন। আমরা সাধারণ মানুষ সচেতন হলে দূর্ঘটনাসমূহ হতে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের সকলকে অগ্নিকান্ড, বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সচেতন থাকতে হবে। বনানী ট্রাজেডির সময় আমরা দেখেছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকে ভিডিও করছেন, কিন্তু এটা না করেও দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় অনেকে এগিয়ে আসতে পারতেন। দূর্ঘটনাস্থলে অযথা অনেকে ভীড় করে উদ্ধারকারী যানবাহন ও উদ্ধারকর্মীদের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটায়, এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে স্টেশন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও প্রচারণা নিয়মিতভাবে চালিয়ে আসছি। এ বছর বিরলে ৫৯ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আর আনুমানিক উদ্ধারের পরিমাণ ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সড়ক দূর্ঘটনা হয়েছে ১৪ টি, যার মধ্যে নিহত হয়েছে ৫ জন ও আহত হয়েছে ১৩ জন। নদী ও পুকুরে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা ১ জন। উপজেলায় ৩৯ টি হাট-বাজারে গণসংযোগ, ৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহড়া ও ১৩ টি প্রতিষ্ঠানে মোট ৪৭০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।