ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কেরশাইল গ্রামে এ স্বল্প মেয়াদী আমন ধান কাটা শুরু করেছেন চাষিরা। আশপাশের জমিতে ধান কাঁচা থাকলেও এরইমধ্যে ব্রি ধান-৭৫ ও বিনা ধান-১৭ কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এ ধান আবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে আর্ন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তত্বাবধানে ও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি বাস্তবায়নে কাদিরদি ব্লকে মোঃ মানিক মিয়ার জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৩৩, বিনা ধান-১৭ ও বিনা ধান-২২ চাষ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিধান-৭৫ ও বিনা ধান- ১৭ ধান কর্তন শুরু হয়। ওই ধান কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রীতম কুমাড় হোড়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বোয়ালমারী বলেন এ সকল জাতের ধান ১১২-১১৫ দিনের মধ্যে কাটা হয়। ব্রিধান- ৭৫ হেক্টর প্রতি ফলন ৫.৪৭ মে.টন এবং বিনা ধান-১৭ প্রতি হেক্টরে ৫.৮ মে. টন ফলন হয়। চাষী মোঃ মানিক মিয়া বলেন নতুন জাতের স্বল্প মেয়াদী জাতের আমন ধানের ভাল ফলন পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হবো মনেকরছি।
কাদিরদি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর জানান এলাকার দুইজন বাছাইকৃত কৃষকে ৫ টি জাতের ধানের ট্রায়াল প্লট এ বিনামূলে বীজ, সার ও কীটনাশক সহ প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, অল্প দিনের মধ্যে আগাম ধান কেটে কৃষকেরা সরিষা, মশুরী. ধনিয়া, কালিজিরা, গম সহ অন্যান্য শীতকালীন রবি শস্য আবাদ করতে পারবেন। ফলে শস্য নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব হবে। অন্যান্য ব্রি উদ্ভাবিত অন্যান্য জাতের তুলনায় এই ধানের চাল অপেক্ষাকৃত চিকন হওয়ায় এটি লাভজনক। ওই ধান কর্তন অনুষ্ঠানে ড. ছাইদুল ইসলাম, সিনিয়র স্পেলালিস্ট, আর্ন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ও কৃষিবিদ মোঃ লিয়াকত আলী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এসডিসি, ফরিদপুর সহ এলাকার ধান চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।