সাতক্ষীরার দৃষ্টিনন্দন পিকনিক স্পট মোজাফফর গার্ডেনে দিনভর অভিযান চালিয়ে কুমির, অজগর সাপ, বানরসহ ২১ প্রকারের ৫৯টি বন্যপ্রাণি আটক করেছে বনবিভাগ। বনজ প্রাণি পোষা সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক আব্দুল্যাহ আস সাদিক নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই মোজাফফর গার্ডেন এর সুবিন্যস্ত সংরক্ষিত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে অংশ নেন বনবিভাগ ও পশু সম্পদ সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক আব্দুল্যাহ আস সাদিক রাতে গণমাধ্যমকে জানান, খুলনা বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের খড়িবিলায় মোজাফফর গার্ডেন এ অভিযান চালিয়ে দুটি কুমিরের একটির বয়স ছিল ১০ বছর, অপরটির ৬ বছর। পাইথন দুটির বয়স ৫ থেকে ৬ বছর তাদেরকে জব্দ করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত প্রানীর মধ্যে আরও রয়েছে ৩টি বাজপাখি, ১টি উল্লুক, ৬টি বানর, ২টি সঁজারু, ১০টি অতিথি পাখি, অজগর সাপ ২টি, হনুমান অস্ট্রেলিয়া ২টি, গুইসাপ ৪টি, মদন টাক ১টি ও ঈগল ২টিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রানী রয়েছে। অভিযান চলাকালে ‘মোজাফফর গার্ডেন’ এর মালিক খায়রুল মোজাফফর মন্টু এবং তার অফিসের সকল কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আটককারী বন কর্মকর্তারা বলেন, যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় এসব বন্যপ্রাণি গার্ডেনের মালিক আভিযানিক দলের নিকট প্রদান করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় প্রধান নির্মল কুমার পাল জানান, আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফিরে আসার পর জব্দ প্রাণিগুলো বনবিভাগের হেফাজতে আছে। প্রকৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এমন পরিবেশে তাদের অবমুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণির মধ্যে ভল্লুক, সজাঁরু ও বানর ঢাকা বন বিভাগ অবমুক্ত করবে এবং বাকি প্রাণিগুলো সুন্দরবন কেন্দ্রিক বিধায় তাদের খুলনা বনবিভাগ অবমুক্ত করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আজ শুকবার বিধায় মামলা হচ্ছে না। জেল-জরিমানা হয়নি। তবে রোববার মামলা হতে পারে বলে তিনি জানান।