মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তর তিলকপুর গ্রাম থেকে একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামটির দিপু বাবুর ঘরের বারান্দা থেকে উদ্ধারকৃত সাপটি শুক্রবার সন্ধ্যায় লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র ও বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজনকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, উত্তর তিলকপুর গ্রামের দিপু বাবুর বাড়িতে একটি বিষধর সাপ পাওয়া গেছে। লোকজনের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সাপটি তাদের ঘরের বারান্দায় কু-লী পাকিয়ে বসে আছে।পরে বন্যপ্রাণী বিভাগ সজলকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই উত্তর তিলকপুর গ্রামে গিয়ে শঙ্খিনীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সাপটি লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কের জানকিছড়ায় রেসকিউ সেন্টারে রয়েছে।
সুত্র জানায়, এদের দেহের কালো-হলুদ-কালো বলয় বেশ মোটা, স্পষ্ট ও দৃষ্টিআকর্ষী। এদের বাহারি রঙের কারনেই এরা সর্বত্র পরিচিত। এ সাপের মেজাজ অত্যন্ত শান্ত। এরা সহজে কামড়ায় না। শঙ্খিনী বর্ষায় ডিম দেয় ও বাচ্চা ফোটায়। মা শঙ্খিনী প্রায় ১৫টি ডিম পাড়ে।
এরা কেউটের মত নিশাচর। পানির নিকটবর্তী ইঁদুরের গর্ত, উইয়ের ঢিবি ও ইটের গাদা পছন্দ করে। রাতে এরা অত্যন্ত কর্মতৎপর এবং দ্রুত চলতে পারে। শঙ্খিনী কালকেউটে এবং গোখরা পর্যন্ত হজম করে ফেলতে পারে।