ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিস্টকালের ধর্মঘটে শুক্রবার বেনাপোল থেকে দুরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। পণ্যবাহী ট্রাক সহ দুরপাল্লার সকল ধরনের গনপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে বেনাপোলে আটকা পড়েছে শতশত ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা।
অনেকে পরিবহন কাউন্টার অথবা আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। অনেকে আবার বিকল্প পথে গšত ব্যে যাচ্ছে বলে জানান শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার বাবলুর রহমান।
হঠাৎ করে গনপরিবহন বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা। ভারত ফেরত যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তাদেরকে ইজিবাইক, রিক্সা ,ভ্যান ও ট্যাক্সি ভাড়া করে গšতব্যে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার ভারতে চিকিৎসা করে আসার পর কাছে টাকা না থাকায় পরিবহন কাউন্টারেই অবস্থান করছেন।
ভারত ফেরত যাত্রী গোপালগঞ্জের জয়šিত তালুকদার পাসপোর্ট নম্বর( ইউ-০৬৮৪২৩৭). সুরেশ তাদুকদার পাসপোর্ট নম্বর (ইউ-০৩৩২১০১) বলেন আমরা ভারতে গিয়েছিলাম চিকিৎসা করতে। আজ বাংলাদেশে ফিরে আসার পর জানতে পারি পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এখন কিভাবে বাড়ী যাবে বুঝতে পারছিনা। টাকাও বেশী নেই যে ট্যাক্সি রিজার্ভ করে যাবো। এজন্য কাউন্টারে বসে আছি অপেক্ষায় কখন প্রত্যাহার হবে ধর্মঘট।
আজ শুক্রুবার সকালে যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টুু জানান, ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায় বৃহস্পতিবার রাতে যশোরে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
ফলে শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিনবঙ্গ থেকে কোন গনপরিবহন বা পন্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। এ সময় তিনি আরও বলেন ডিজেলের মূল্য পুর্নবিবেচনা ও বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যšত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবর বহমান জানান, এখন যাত্রী অনেক কম। বাংলাদেশে ধর্মঘট হলেও সকাল থেকে ভারত ফেরত যাত্রীরা দেশে আসছে। সকাল থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দুপুর পর্যন্ত ৩৮০ জন যাত্রী যাত্রী দেশে ফিরেছেন।বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরে আসা যাত্রীদের কেউ বিকল্প পথে গšতব্যে যাচ্ছে আবার কেউ পরিবহন কাউন্টারে অবস্থান করছেন বলে তিনি জনান।