প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিনা নোটিশে পুর্নবাসন ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গঙ্গামতি খালগোড়া এলাকার ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্য মো. সালাম মুসুল্লী এর পক্ষে মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন। সংবাদ সম্মেলনে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘর ভাংচুর, লুটপাটসহ এন্তার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, বিগত প্রায় ৪০ বছর বসবাসকারী জেলে পরিবারদের স্থায়ী বসবাসের কাগজপত্র তৈরী করে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে মনগড়া সিদ্ধান্তে বাৎসরিক ৫০০ টাকা কখনও ১ হাজার আবার ২ হাজার টাকা করে উৎেকোচ গ্রহণ করেন কুয়াকাটা গঙ্গামতি বন বিভাগের অসাদু কর্মরত কর্তারা। বিগত ১০ বছর ধরে বছরে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে আসলেও এবছর ১০ হাজার টাকা দাবি করা নিয়ে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের (০১৭১৩-৫৯১৯৪৫) চলে নাটকীয় ভূমিকা। টাকার হিসাব না মেলায় উচ্ছেদ অভিযান হামলা ও অসহায়ত্ব নিয়ে ভূগছেন ২২ জেলে পরিবার। বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের আতঙ্কে আতঙ্গিত জেলে পরিবারগুলো মাছ ধরে মহাজনের কাছ থেকে আনা ঋণ পরশোধ নিয়ে বিব্রত পরিস্থিতিতে পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হিমসিম খাচ্ছেন অসহায় পরিবারগুলো। ওই ২২ জেলে পরিবারের পূর্নবাসন হওয়াই এখন একমাত্র ভরসা।
এ ব্যাপারে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন জেলেদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বনের অভ্যন্তরে ঘরবাড়ী উচ্ছেদে কোন আগাম নোটিশের প্রয়োজন নেই। টাকা নেয়ার বিষয় নিয়ে কোন সদুত্তর না দিলেও তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের যা কিছু লেখার আহ্বান জানান।
গঙ্গামতি গোড়াখালে বসবাসরত জেলে পরিবারের পুনর্বাসন, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও আবাসন নিশ্চিতের দাবীতে ইতোমধ্যেই একাধিকবার মানববন্ধন করা সহ স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর।
জেলে পরিবারের দাবি বন বিভাগের পাহাড়াদার হিসাবে আমাদের স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু সে হিসাবে আমরা পুর্নবাসনের দাবি রাখি। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে কোন নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন মনগড়া অন্যায় ও বন ভিাগের কর্মকর্তাদেও দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এছাড়াও চলতি বছর ২১ সেপ্টম্ববর সকালে ৬০/৭০ জন কর্মচারী ও শ্রমিক নিয়ে বন বিভাগের আকষ্মিক হামলা ঘর ভাঙ্গচুর ও মারধরের ঘটনা কোনঠাসা হয়ে পড়েন জেলে পরিবারগুলো।
জেলে পরিবারের দাবি, যেখানে তারা বসবাস করছেন সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে। ওই গাছের নিচে কোন চারা রোপন করলেও বেড়ে ওঠার সুযোগ নাই। তাই তাদেও রহিঙ্গা পরিস্থিতর সাথে তুলনা কওে পুর্নবাসনের দাবি কওে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ২২ পরিবারের জীবন যাপন নিশ্চিত করার আশা ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে মহিপুর বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ (০১৭০১-৮৪৫৪৬৯) বলেন, বনায়ন করার আদেশ রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষ কর্মসূচী চলছে। জেলে পরিবারদের লিখিত নোটিশ দেয়া হয় নাই তবে মৌখিকভাবে অনেকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।