লক্ষ্মীপুর পৌর শহর থেকে ডাকাত দলের দু’সদস্য মুক্তার ও শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের উত্তর তেহমুনী এলাকা থেকে তাদের আটক করা। এসময় তাদের নিকট ডাকাতিকৃত ২ ভড়ি স্বর্ণসহ ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শরীফ পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের মোজ্জামেল হোসেনের পুত্র। ও মুক্তার একই এলাকার চৌধুরী মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানান,গ্রেপ্তাকৃত দুইজন মুক্তার ও শরিফকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা দু’জনই ইন্টারনেট কর্মী ছদ্মবেশী ডাকাত দলের সদস্য।
জানাগেছে, এর আগে মঙ্গলবার দিনের বেলায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মদিন উল্যাহ হাউজিং প্রবাসীর আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে ইন্টারনেট কর্মী ছদ্মবেশী ডাকাতদল মুক্তার ও শরিফ। এ সময় তারা প্রবাসী স্ত্রী আকলিমাকে খেলনা পিস্তল ও ছোড়া দিয়ে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে হাট-পা বেধে ফেলে।পরে তারা বেধর মারধর করে। তার হাত-পা ও মুখ বেধেঁ চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ঐ দিন সন্ধায় প্রবাসীল স্ত্রী আকলিমা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় জড়িত না থাকলেও স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে জড়ানো হয়। পুলিশ আসামিদের ব্যাপারে সন্ধেহ হলে বিষয়টি তদন্তে একাধিক স্থানের সিসি ক্যামার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরে সিসি ক্যামরার ফুটেজ অনুযায়ী ডাকাত দলের দু’সদস্য মুক্তার ও শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী স্বপন জানান,তাঁরা দীর্ঘদিন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বনিক পাড়ার ডিস ও বর্তমানে ডিসসহ ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছেন তারা। তাদের একটি সুনাম রয়েছে। এক শ্রেণির প্রতারক চক্র তাদের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্য করতে ডাকাতদলের সদস্যদের ভাড়া করে প্রবাসীর ঘরে প্রবেশ করিয়ে স্বর্ণলঙ্কার মালামাল নিয়ে তাদেরকে ফাঁসাতে চেষ্ঠা করেছিলো। ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তÍার করেছে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো সে ঘটনার বিচার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার এস আই মো: কাউছার জানান, দিনের বেলায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের একটি বাসায় প্রবাসীর স্ত্রী জিম্মি করে স্বর্ণলঙ্কার লুটে নেয়ার ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় এজহার নামীদের গ্রেপ্তার না করে সিসি ক্যমরার ফুটেজ ধরে ঘটনা তদন্তে নেমে ইন্টারনেট কর্মী ছদ্মবেশী ডাকাতদল মুক্তার ও শরিফ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের নিকট লুঠিত মালামাল উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্তার ও শরীফ জানান, স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে তারা চিনেন ও না। তারা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরসহ জেলার বিভিন্নস্থানের ডাকাতি করে আসছে। লুটে নিয়েছেন স্বর্ণলঙ্কারও। ওইদিন তারা দিনের বেলায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মদিন উল্যাহ হাউজিং প্রবাসীর আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে ইন্টারনেট কর্মী ছদ্মবেশ পরিচয় দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী আকলিমার মারধর করে। এক পর্যায় তার হাত-পা ও মুখ বেধেঁ চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। তারা নেশার টাকার জন্য এ কাজ করছেন।