জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে রোববারও বেনাপোল বন্দর থেকে কোন ধরনের পণ্য লোড আনলোড ও খালাশ হয়নি। ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা বন্দরের আঁশ পাশে অবস্থান করে বাধা দিচ্ছে পন্য খালাশ কার্যক্রম। তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে দু দেশের আমদানি রফতানি বানিজ্য। বন্দরের অভ্যস্তরে কোন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রেইলর প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, গত বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিস্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান পরিবহন নেতারা।
ধর্মঘটের কারণে দেশের সিংহভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাচামাল আমাদনি হয় এ বন্দর দিয়ে। ধর্মঘটের কারণে বন্দর থেকে কাঁচামাল ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে সংকটের আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্মঘটে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বন্দর থেকে কোন মালামাল খালাশ হয়নি। ফলে বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট ও পন্যজট। শ্রমিকরা বন্দরে কোনো ট্রাক প্রবেশ কিংবা বের করতে না দেওয়ায় সেগুলোও ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল আমাদনি রফতানি কারক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন বলেন, পণ্যপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য ব্যহত হচ্ছে। বন্দরে শতশত ভারতীয় পন্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। এতে করে পন্য পরিবহন ব্যয়ও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যার প্রভাব পড়বে জনগণের ওপর।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান বলেন, পরিবহন ধর্মঘটে বন্দর থেকে কোন ধরনের পন্য খালাশ হয়নি। যদিও দু দেশের মধ্যে স্বাভাবিক রয়েছে আমদানি রফতানি বানিজ্য্ ও যাত্রী চলাচল। রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ী এবং জনগণের স্বার্থে দ্রুত এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা উচিৎ।