খুলনার পাইকগাছায় ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাসনের একমাত্র মাধ্যম চাঁদখালী নদী। কিন্তু নদীতে বাঁধ ও দখল করে মাছ চাষের ফলে এলাকার পনি সরবরাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তারা উপজেলা পরিষদ বরাবর অভিযোগ করলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিছু নেটপাটা অপসরণ করলেও বাঁধ গুলো এখনো অপসরণ হয়নি। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামের বাসুদেব সরকার জানান, চাঁদখালী নদীটি প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ। নদী দিয়ে চাঁদখালী, গজালিয়া, কাটাবুনিয়া, কলমিবুনিয়াসহ ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু বদ্ধ জলমহল দেখিয়ে নদীটি চাঁদখালীর কাদের নামে একজন ইজারা নিয়েছে। তিনি ইজারার নামে বাঁধ দিয়ে ৫ খন্ড করে লাল চাঁদ, দেবু সহ আরো অনেকের কাছে বিক্রি করেছে। কাঁটা বুনিয়ার মৃত সতিষ তরফদারের ছেলে সুর্যকান্ত তরফদার জানান, এ এলাকায় ৩ থেকে ৪ হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়। কিন্তু বৃষ্ট হলে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ধান পানিতে ডুবে মারা গেছে। চাঁদখালী নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে পানি সরানোর সম্ভব হয়না। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেছেন নদীটি বদ্ধ ও ভরাট দেখিয়ে সরকার অনেকের কাছে বন্দোবস্ত দিয়েছে। সে কারণে খাল ভরাট করে বাড়ি ঘর তৈরী করেছে। আবার অনেকেই নিজেদের জমি দাবী করে দখল করছে। নদীটি যেন দখলের মহা উৎসব চলছে। এ ব্যাপারে ইজারাদার কাদের গাজী জানান, আমি ইজারা নিয়ে নেট দিয়ে মাছ চাষ করছি। লাল চাঁদ দেবু বাঁধ দিয়ে চাষ করে না। লাল চাঁদ ও দেবু জানান, আমরা টাকা দিয়ে এক খন্ড নিয়েছি। আমরা পানি সরবরাহে কোন বাঁধাগ্রস্থ করছিনা। অন্য খন্ড যে নিয়েছে সেই বাঁধ দিয়েছে। আর অধিকাংশরাই বন্দোবস্ত (প্রভেজালের) জমি দাবী করে বাঁধ দিয়েছে। চাঁদখালী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস বলেন, সবেমাত্র কয়েক দিন ইউনিয়নের দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আমি আমার নির্বাচনের ইস্তেহারে বলেছি, নদী দখল, হাট বাজার দখল উন্মুক্ত করবো। আমার ইউনিয়নে খাস জমি নিয়ে নদী খাল দখল করবে সেটি হবে না। পনি সরবরাহের পথ বন্ধ করে মাছ চাষ ও ধান চাষের ক্ষতি করতে দিব না। আমি উপজেলা আইনশৃঙ্খলার সভায় উত্থাপন করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করবো। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু বলেন, এলাকা বাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে নেটপাটা অপসরণ করে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আর বাঁধগুলো তারা নিজ খরচে অপসরণ করবে বলে আমাকে আস্বস্থ করেছিলো। যদি না করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, এটি আমার জানা ছিলোনা। যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।